সিলেট:সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার মামলায় আরো একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক আহমদ এই মামলার দ্বিতীয় আসামি।
ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ: বিচারিক তদন্তে কমিটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ৫০ হাজার টাকার জন্য সেই বধূর উপর ওরা হামলে পড়ে।
তারেককে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৯ এর গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা এএসপি ওবাইন রাখাইন।
র্যাব জানিয়েছে, ধর্ষণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত তারেকসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। তারেক মামলায় দুই নম্বর আসামি, এজহারে তার নাম রয়েছে ৬ নম্বরে।
গত শুক্রবার বিকালে এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়েছিলেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার এক দম্পতি। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ৫-৬ জন যুবক জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায় দম্পতিকে। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে ১৯ বছরের গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে তারা।
খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে গৃহবধূকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে শাহপরাণ থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামি করে শাহপরান থানায় মামলা করেন তরুণীর স্বামী। যে ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবেই পরিচিত- সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক আহমদ, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম।